নয়াদিল্লি: মাত্র ৪৫ মিনিট সময় পেয়েছিলেন পদত্যাগ এবং দেশছাড়ার জন্য। কোনও রকমে সেনার বিমানে চেপে ভারতে এসে পৌঁছন। সোমবার থেকে দিল্লির কাছে, গাজিয়াাদ বায়ুসেনা ঘাঁটিতেই রয়েছেন বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সেখানে বোন রেহানার সঙ্গে রয়েছেন তিনি। আপাতত ভারতেই থাকবেন তিনি, নাকি অন্য কোনও দেশে আশ্রয় নেবেন, স্পষ্ট নয় কিছুই। তবে গাজিয়াবাদ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে কেমন রয়েছেন হাসিনা, সেই নিয়ে কিছু তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে।
সোমবার গাজিয়াবাদ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অবতরণ করেন হাসিনা। বোন রেহানা এবং জনা কয়েক সহযোগীদর নিয়ে নামেন। পদত্যাগ এবং দেশ ছাড়ার জন্য বাংলাদেশ সেনা তাঁকে ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ফলে জামা-কাপড়, নিত্য় ব্যবহৃত জিনিসপত্র কিছুই গুছিয়ে আনতে পারেননি কেউ। ফলে গাজিয়াবাদ পৌঁছে হাসিনা কেনাকাটা করতে যান।
দিল্লির একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গাজিয়াবাদের হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে একটি শপিং কমপ্লেক্সও রয়েছে। সেখানেই নিজের এবং বোনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে যান হাসিনা। জামা-কাপড়ের পাশাপাশি, অন্যান্য জিনিস কেনেন। সব মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকার কেনাকাটা করেন হাসিনা। ভারতীয় মুদ্রাতেই দাম মেটাতে যান হাসিনা। কিন্তু কিছু টাকা কম পড়ে। এর পর বাংলাদেশের মুদ্রায় দিয়ে বাকি দাম মিটিয়ে দেন।
সোমবার থেকে ভারতের আশ্রয়েই রয়েছেন হাসিনা। জানা গিয়েছে, অন্য কোনও দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় না মেলা পর্যন্তই হাসিনাকে থাকতে দিতে রাজি হয়েছে দিল্লি। হাসিনা গাজিয়াবাদে নামার পরই সেই নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। যদিও হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, ভারতেই থাকছেন হাসিনা। অন্যত্র যাওয়ার পরিকল্পনা নেই।
হাসিনার বোন রেহানা ব্রিটেনের নাগরিক। রেহানার কন্যা টিউলিপ সেখানকার মন্ত্রীও। কিন্তু ব্রিটেনের অভিবাসন আইন বলছে, রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে হলে সরাসরি ব্রিটেনে যেতে হবে আশ্রয়প্রার্থীকে। অন্য কোনও দেশে আগে গেলে, সেক্ষেত্রে আর রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া যায় না। হাসিনা সরকারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক ইদানীং কালে তলানিতে এসে ঠেকে। তাই ছেলে সজীব আমেরিকায় থাকলেও, সেখানেও যাওয়ার উপায় নেই হাসিনার। দিল্লির তরফে সব পক্ষের সঙ্গে কথা চলছে, রাশিয়া, বেলারুশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গেও কথা চলছে।
ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবারই ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছেন হাসিনার সহযোগীরা। তাঁরা কোথায় গিয়েছেন জানা যায়নি। হাসিনাও কি তাহলে অন্য দেশে চলে যাবেন, উঠছে প্রশ্ন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে তাঁকে ফোন করেছিলেন ব্রিটেনের বিদেশ সচিব।
এই ঘটনার সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে নিচের লিঙ্কটি ভিজিট করতে পারেন: https://tinyurl.com/3cmtrrd9
এই ঘটনার প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত জানতে আরও পড়ুন: Sheikh Hasina: ভারত ছাড়লেন সহযোগীরা, হাসিনাও কি অন্য দেশে চলে যাচ্ছেন?
এই লেখার মাধ্যমে আমি আপনাদের জন্য হাসিনা এবং তার সহযোগীদের ভারতে থাকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছি। এই লেখাটি আপনার জন্য উপকারি হোক এবং আপনার জ্ঞান প্রকাশে সাহায্য করুক। ধন্যবাদ।